অ্যালামনাইদের জন্য সমাবেশ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা, প্রদর্শনী ও আমোদ ভ্রমণের আয়োজন করা।
অ্যালামনাইদের মাঝে একতা, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ স্থাপন করা। পরস্পরকে যথাসম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করা।
অ্যালামনাইদের চাকুরীতে সহায়তা করা। কোন প্রকার আর্থিক সংকট কিংবা চাকুরী সংক্রান্ত অসুবিধা দেখা দিলে তাহা নিরসনের জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন এর ভাবমূর্তি উন্নত করা
অ্যালামনাইদের পোষ্য এবং আত্মীয়স্বজনদের শিক্ষা গ্রহণ কিংবা চাকুরী লাভে সহায়তা প্রদান করা।
অ্যালামনাইদের, তাদের পোষ্য এবং আত্মীয়স্বজনদের সুচিকিৎসা লাভে সহায়তা প্রদান করা।
সাহায্য পাওয়ার যোগ্য ছাত্রদের সহায়তার জন্য তহবিল প্রতিষ্ঠা করা।
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন এর ছাত্রদের স্বার্থ রক্ষা করা।
লাইব্রেরি, মিউজিয়াম, কনফারেন্স সেন্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গবেষণাগার, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা
নিয়মিত ‘বুলেটিন’, সাময়িকী, পুস্তক মুদ্রণ ও বিভিন্ন প্রকাশনা প্রকাশ করা
সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা
দেশে ও বিদেশে অ্যালামনাইদের সংগঠন গড়ে তোলা।
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন –এর শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে সহযোগিতা করা।
শিক্ষার উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা।
উপরোক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী অর্জনে তথা অ্যালামনাইদের প্রতি দায় মোচনের ক্ষেত্রে সহায়ক এরূপ অন্য সকল কার্যাবলী সম্পাদন করা।
প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের ডাটাবেজ তৈরী করা
সচিব
সমন্বয় ও সংস্কার
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ
ও
সভাপতি, এটেক্সা
এটেক্সা সভাপতি বানী
“সুবর্ণ স্মৃতির মধুর আনন্দে, এসো মিলি মোরা সৃজনী ছন্দে“
প্রাণের বিদ্যাপীঠ আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আবেগাপ্লুত, উদ্বেলিত, শিহরিত। বিগত পঞ্চাশ বছরে এ বিদ্যালয় হতে হাতে খড়ি নিয়ে অনেকে আজ দেশে–বিদেশে সরকারী–বেসরকারী পর্যায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁদের পদচারণায় মুখরিত হবে বিদ্যালয় আঙ্গিনা, হাজারো প্রাণের কলকাকলিতে মুখরিত হবে এ প্রাঙ্গণ, আকাশে–বাতাসে প্রতিধ্বনিত হবে গুঞ্জন, অনেক পরিচিত মুখকে ৫০ বছর পর নতুন করে দেখতে পারো, প্রিয় বন্ধুদের কাছে পেয়ে মনের জমানো কথাগুলো যেন উত্তরে উঠবে– এ এক অব্যক্ত অনুভূতি। কবি নজরুলের ভাষায় বলতে হয়–
“আজকে আমার রুক্ষ প্রাণের পরলে
বাণ ডেকে ঐ জাগল জোয়ার, দুয়ার ভাঙ্গা কল্লোলে“
স্মৃতিময় এ দিনে আমি বিশেষভাবে স্মরণ করি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক জনাব মো: আব্দুল কাদির স্যারকে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে সদ্য প্রসুত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি তৈরী করানোর মত গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তাঁরা কণ্টক। পথচলা কখনোই বিস্তৃত হবার নয়। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, নিরলস শ্রম ও ত্যাগের কারণে অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা ক‘জন ১৯৮২ সালে এ বিদ্যালয় হতে প্রথম এস. এস. সি. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হই। তিনি আজ বেঁচে থাকলে কতইনা খুশী হতেন। তাঁর অন্যতম সহযোদ্ধা ছিলেন জনাব মধুসূদন দত্ত স্যার। এ মিলনমেলা ক্ষণিকের হলেও এর ব্যাপ্তি অনেক। এর মাধ্যমে সকলের মাঝে তৈরি হবে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন, যে বন্ধন।
হবে আত্মিক ও দীর্ঘস্থা
বিদ্যালয়ের যে সমস্ত শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এ ধরা থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আতগত তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ATEXSA একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনরুপে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিবাদের সহায়তায় করোনা মহামারীতে মানুষকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতন করা, দরিদ্র মানুষের জীবন–মৃত্যুর ক্রান্তিলগ্নে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেয়া, কর্মহীন মানুষকে খানা সহায়তা, রোজার সময় দরিদ্রদের ইফতার ও সাহরীর ব্যবস্থা করা, কোরবানীর মাংস বিতরণ, আশ্রয় বিদ্যাপীঠকে সাথে নিয়ে পথশিশুদের বিনামূল্যে পাঠ। উপকরণ সরবরাহ ও পাঠদান ATEXSA এর উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের অংশ। এটিকে বাঁচিয়ে রাখলে এলাকার অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে। ATEXSA বেঁচে থাকুক মানুষের মননে, হৃদয়ে ও ভালোবাসায়।
এপিএসসিএল–এর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। এ জন্য শ্রদ্ধাভাজন ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ও তাঁর সহকর্মীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা।
পরিশেষে, সবার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি সফল ও স্বার্থবহ হবে বলে আমি মনে করি।